প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটির দায়ে বরখাস্ত ৬ জন
ইঞ্জিন ওয়েলের পাইপের নাট ঢিলা হয়ে যাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটিতে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ব্যর্থতার (হিউম্যান ফেইলর ফ্যাক্টর) কারণেই এটা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিমানের করা তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ তথ্য জানান। তিনি জানান, এ ঘটনায় পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। মন্ত্রী তাঁদের পরিচয় জানাননি। তবে সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছয়জনকে বহিস্কারের কথা জানায়। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ বিমানের ইঞ্জিিনয়ার অফিসার (ইও) এসএম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন এবং টেকনিসিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।
গত রোববার হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশ সময় সোয়া দুইটায় তুর্কমিনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। ত্রুটি মেরামত শেষে ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে আশখাবাদ থেকে বুদাপেস্টের পথে আবার যাত্রা করে। এরপর বিমানটির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণ অনুসন্ধানে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ দুটি কমিটি করে। পরে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার আগেই কমিটির অনুসন্ধান শেষ করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন রাশেদ খান মেনন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন