জেএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার, আটক ৪
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কারখানা বাজার এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে নিখোঁজ এক স্কুলছাত্রের মরদেহ সেপ্টিট্যাংকি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার ট্রাকচালকসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত স্কুলছাত্রের নাম আতিকুর রহমান (১৫)। সে সিটি কর্পোরেশনর কাউলতিয়া বিপ্রবর্থা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে।
এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়, ট্রাক চালক আব্দুল আলিম (৩২), ইটভাটার শ্রমিক খোরশেদ আলম (২২), শাহিনুর রহমান (২২) ও শফিকুর রহমান টাইগার (২৩)। আটকদের একজনের দেয়া স্বীকারোক্তিতে ঘটনা তদন্তে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুলিশ কারখানা বাজার এলাকার দেওয়ান ব্রিকস-এ অভিযান চালিয়েছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ঐ এলাকার জনগণ জানান, আতিক স্থানীয় বিপ্রবর্থা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে। সে কাউলতিয়া জহির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষা দিয়ে ওই ভাটার ট্রাকে শ্রমিকের কাজ নেয়।
শুক্রবার রাতে আতিক ইটভাটার উদ্দেশে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। আতিক নিখোঁজ হওয়ার পর সোমবার দুপুরে তার সঙ্গে থাকা ওই চারজনকে ডেকে স্থানীয়দের নিয়ে শালিস করা হয়। এ সময় তারা একেকবার একেক তথ্য দিলে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
জয়দেবপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদুল হাসান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার ভোরে আটকদের সঙ্গে স্কুলছাত্র আতিকুর রহমান (১৫) একটি ট্রাকে ইট লোড করার পর ওই ট্রাকে উঠে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পরে ঢাকার আজিমপুর এলাকায় ইট আনলোড করার সময় দুর্ঘটনায় (ট্রাকের ঢালার আঘাতে) আতিক মারা যায়। সেখান থেকে তার মরদেহ এনে ইটভাটার মালিক ইমরান দেওয়ানের কাছে হস্তান্তর করে বলে জানায় আটক শাহীনুর।
আটকদের দেয়া তথ্যানুযায়ী বুধবার ওই ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়েছে। ইটভাটার মালিক ইমরান ও ম্যানেজার রফিকুল ইসলামকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন। তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান থানা পুলিশের এ পরিদর্শক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন